জবর দখল হওয়া বাড়ি ফিরে পেতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় বিধবা নারী। শনিবার (২১ মে ) দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড শিবপুর গ্রামে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে সাহিদা বেগম (৫৫) নামে ওই নারী। এসময় তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে সাহিদা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালে আমি শিবপুর মৌজায় ১০ শতক জমি কিনে একটি টিন শেড বাড়ি নির্মান করি। যে বাড়িতে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। ওই বাড়িটি অন্যায় ভাবে গায়ের জোরে দখল করতে নানা মুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় আমার সতীন পুত্র শাহারিয়ার সিদ্দীকী রিপন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জুন মাসে উক্ত শাহারিয়ার সিদ্দীকী গং আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সেটি দখল করে নেয়। এরপর থেকেই আমি আমার মেয়ের বাড়িতে আশ্রয়ে আছি। আমি ওই বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে রিপন সিদ্দীকি আমাকে বাঁধা দেয়, মারধোর করে, এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সে কারনে প্রাণ ভঁয়ে আমি এখন আর ওই বাড়িতে যেতে পারি না।’

তিনি আরো জানান, এসব নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২১ এপ্রিল তারা আমার মেয়ে লিজা আক্তারকে (৩০) লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা দায়ের করায় শাহারিয়ার সিদ্দীকী রিপন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। সে এখন আমি ও আমার মেয়ে এবং জামাইকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুরের হুমকি দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য ভঁয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ কারনে আমার মেয়ে জামাই পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। শুধু তাই নয় আমিসহ আমার মেয়ে ও জামাই কে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।

কান্না জড়িত কন্ঠে বিধবা নারী এই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও জবর দখল হওয়া বাড়ি ফিরে পেতে রাষ্ট্র ও সরকারের সহযোগীতা চায়। তিনি আরও বলেন, ‘রিপন খুবই প্রভাবশালী। সে মাঝে মধ্যেই ভাড়া করা লোকজন এনে আমাকে ভঁয়ভীতি দেখিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং আমার মেয়ের পরিবারের উপর নির্যাতন চালায়। থানা পুলিশের নাম ভাংঙ্গিয়ে রিপন বলে স্থানীয় পুলিশসহ সব জায়গায় আমার লোক রয়েছে। আমি এই শাহারিয়ার সিদ্দীকী রিপনের হাত থেকে বাঁচতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে সাহিদা বেগমের মেয়ে লিজা আক্তার, জামাই দাউদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।